লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চুড়ান্ত তালিকায় ৪ সুবিধাভোগীর নাম বাতিলের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে। বাদপড়া সুবিধাভোগীরা লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দেশের দারিদ্র প্রীরিত এবং দুস্থ গ্রামীণ মহিলাদের আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নয়ন, পুষ্টিহীনতা, অর্থনীতি নিরাপত্তাহীনতা নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অবস্থানকে সফলভাবে অতিক্রম করে সক্ষমতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ভিজিটি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দারিদ্রতার মানচিত্র ও দারিদ্র্য সারণির ভিত্তিতে উপজেলা ভিত্তিক মোট জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ অতি দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে তার উপর নির্ভর করে সুবিধা ভোগীর তালিকা তৈরি করা হয়।
চার সদস্য বিশিষ্ট ক্ষুদ্র কমিটিতে, ওয়ার্ড সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি করা হয়। ওই কমিটি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্দশা গ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কার্ড বন্টন করবে। তালিকার প্রস্তুতির জন্য সংযোজনী ১.১অনুযায়ী ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব পালন করবেন। যে সব পরিবারের সদস্যরা কোন না কোন এক বেলায় খেতে পারেন না, যাদের জমি ০.১৫ একরের কম, ঘরবাড়ী নিম্ন মানের, সুনির্দিষ্ট আয়ের উৎস নেই, এমন চারটি শর্তানুসারে ভূমিহীন পরিবার, মহিলা প্রধান পরিবার, যাদের নিয়মিত উপার্জনের কোনো উৎস নাই এমন পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। এই কমিটি গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে জন সভার মাধ্যমে ভিজিডি মহিলা বাছাই প্রক্রিয়া এবং শর্তগুলি স্বচ্ছ ভাবে অভিহিত করবে। এরপর এই তালিকা প্রস্তুতির পর পর্যালোচনা ও যাচাই প্রক্রিয়া শেষে উপজেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করবে। সেই তালিকা যাচাই বাছাই শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলোর এমন নিয়ম থাকলেও লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নে তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। হারাটী ইউনিয়নে মোট ২শত ৪৩জন এই সুবিধার আওতায় আসলেও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ৮জনের একটি বাছাই করা তালিকা দিলে সেই তালিকা থেকে ৪জনকে বাদ দিয়েছে ট্যাগ অফিসার ও ইউনিয়ন সচিব।
চুড়ান্ত ৩১ ও ৪১ নম্বর তালিকার ৮নং ওয়ার্ডের কাজীর চওড়া গ্রামের রাশিদা ও ময়না বেগমের নাম যুক্ত করা হয়েছে ৯নং ওয়ার্ডে। তিনি আরও জানান, ট্যাগ কর্মকতাসহ অন্যান্য দায়িত্ব প্রাপ্তরা কোন ধরনের গ্রাম্য সভা ও পরিদর্শন ছাড়াই তালিকা করেছে এবং তার দেয়া তালিকা থেকে ৪জনের নাম বাদ দিয়ে তার সম্মান হানী করার চেষ্টা করছে। তাই বাদ পড়া সুবিধাভোগী সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সঠিক তদন্ত করে যেন তাদের সমস্যাটি সমাধান হয় তার প্রতিকার চেয়েছেন।